এ

এ, ১,০৫৭টি ভুক্তি
এ (আ-ধ্ব-ব: [æ]) বাংলা বর্ণমালার একাদশ (বর্তমানে অষ্টম) স্বরবর্ণ। উচ্চারণ স্থান কণ্ঠ ও তালু। মুগ্ধবোধমতে শুদ্ধ তালু। ইহা দীর্ঘস্বর। ব্যঞ্জনবর্ণের সহিত যুক্ত হইলে ‘ে’ এইরূপ আকার হয়। যথা— ক + এ = কে। ইহা অ + ই এই দুই স্বর যোগে উচ্চারিত হয় বলিয়া ইহাকে সন্ধ্যাক্ষর বলে। বাংলায় ইহার হ্রস্ব, দীর্ঘ ও প্লুত স্বর আছে। যথা— এক [হ্রস্ব]; (২) একুশ [দীর্ঘ]; (৩) মেঘ; এরে (শিশুকে ধমক দিবার কালে) [প্লুত]; প্রাচীন বাংলা পদান্তে একারের হ্রস্বস্বর—আধুনিক চলিত, বাংলা দীর্ঘস্বরে ও সাধু ভাষায় [হিন্দির অনুকরণে] ‘ইয়া’তে পরিণত। যথা— কর্ যা = করে = করিয়া। “অগ্নি লেগে ললাটে লিখন গেল জ্বল্যা।” —শিবায়ণ। এখানে জ্বল্যা = জ্ব’লে = জ্বলিয়া [যা হ্রস্ব এ বা ্যা (অ্যা) যোগে পূর্ব বঙ্গ ইত্যাদি স্থানে উচ্চারিত, ২৪ পরগনা, হুগলি ইত্যাদি অঞ্চলে তাই দীর্ঘস্বর সংযোগে উচ্চারিত হয়] প্রাচীন বাংলা ‘এ’ অধুনা ‘য়’তে পরিণত। যথা— হএ = হয়। “নৃপতি হুসেন সাহ হএ মহামতি।” —মহাভারত (কবীন্দ্র পরমেশ্বর)।